নড়াইলে ডাকাতিকালে কুপিয়ে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে ডাকাতিকালে বাধা দেয়ায় কুপিয়ে হত্যা মামলায় পাঁচজন আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী গ্রামের মৃত লালমিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবুল ওরফে কোবরা বাবুল, সলেমানের ছেলে সেলিম, সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সীর ছেলে শাহিন মুন্সী, ফেদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা এবং মাগুরা জেলার খানপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তেজারত মোল্যা।
রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত তেজারত মোল্যা আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকি চারজন পলাতক রয়েছে।
আলাদত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২৭ বছর আগে ১৯৯৮ সালের (২৪ জুন) নড়াইল শহরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে ভওয়াখালী গ্রামের নির্মল পোদ্দার ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ওইদিন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে অজ্ঞাত আসামিরা বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশে প্রবেশ করে। এসময় পরিবারের সকল সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা-বেঁধে ফেলে ডাতাদল। ডাকাতি কাজে বাধা দেয়ায় গৃহকর্তা নির্মল পোদ্দার ডাকাতদের রামদায়ের কোপে মারাত্মক আহত হন। ডাকাতরা প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নির্মল পোদ্দার মারা যায়। এ ঘটনায় নির্মল পোদ্দারের মেয়ে পলি পোদ্দার বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার পাঁচজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া তিন আসামির বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন নড়াইল জজকোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু ও অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম। আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার ঘোষ, অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন।

fi

আরো দেখুনঃ