নড়াইলের আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ জুয়েল রানা মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।
৯ বছর আগে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মোঃ ইউসুফ ফারুকীর ছেলে নড়াইল জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ রায়হান ফারুকী ইমাম।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, বাদী একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ‘‘ স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ হয়েছেন বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্ক আছে’’। এছাড়া তিনি একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘ তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি’’। এমন বক্তব্য পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক
মিডিয়াতে প্রকাশিত ও প্রচারিত হলে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে ২৯ ডিসেম্বর নড়াইলের কালিয়া আমলি আদালতে মামনহানী মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত অভিযোগ প্রহণ করে সদর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সদর থানা অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৪আগস্ট অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে মামলার নির্ধারিত দিনে দীর্ঘদিন ধরে বাদীপক্ষ আদালতে হাজির না হওয়ায় ২৪৭ ধারা মতে বিচারক আজ মামলাটি খারিজ করে দেন।
বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ইকবাল হোসেন সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রমের মোঃ ইউসুফ ফারুকীর ছেলে মোঃ রায়হান ফারুকী ইমাম মামলাটি দায়েরের পর আদালতে উপস্থিত হননি। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পর বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।