নড়াইলে আনন্দ উৎসবের মধ্যদিয়ে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। শনিবার (১৯ নভেম্বর) শহরের ধোপাখোলা এলাকায় ” নন্দন কানন শিশু কিশোর বিকাশ ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এরপর নন্দন কানন শিশু কিশোর বিকাশ ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা নেঁচে গেয়ে আনন্দ উৎসবে নবান্ন উৎসবকে বরণ করে নেয়া হয়।
নন্দন কানন শিশু কিশোর বিকাশ ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সুভাষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু, সাধারন সম্পাদক শরফুল আলম লিটু, নন্দন কানন শিশু কিশোর বিকাশ ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক ডাঃ মায়া রানী বিশ্বাস, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শামীমুল ইসলাম টুলু প্রমুখ।
উৎসবে ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, রস চিতই, পাটি সাপটা, সেমাই পিঠা, দুধপুলি, ক্ষীরপুলি, পাকান পিঠা, তালপিঠা ভাজা পিঠা, নকশী পিঠা সহ অন্তত ২০ প্রকারের পিঠা স্থান পায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি ও পিঠাপ্রেমীরা পিঠা খেয়ে ভীষণ খুশি এবং প্রশসংসা করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক নন্দন কানন শিশু কিশোর বিকাশ ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক ডাঃ মায়া রানী বিশ্বাস বলেন,‘ সময়ের পরিক্রমায় অনেক পুরাতন অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমান নাগরিক জীবনে এখন আর সেই উৎসব আমেজ নেই। আধুনিক সভ্যতার এই যুগে অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি পিঠা উৎসব। আগের মতো এখন আর বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে না। যেসব বাহারি স্বাদের পিঠা ছাড়া গ্রাম বাংলার মানুষ বিয়ে, উৎসবের কথা চিন্তা করত না, এখন সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে বিদেশি খাবার। আমরা অনেক পিঠার নামই ভুলে গিয়েছি। ঐতিহ্যবাহী সব পিঠাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসবে এসে অতিথি ও পিঠাপ্রেমীরা পিঠা খেয়ে খুশি হয়েছেন। আমাদের এ চেষ্টা আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।’
এদিকে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবে সংগঠনের শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সকলকে মুগ্ধ করে তোলে।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com