নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো দুদিনব্যাপী ‘ ইউনিয়ন সেবা মেলা’। খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ণবাসীর সেবা সম্পর্কে অবহিত করতে এ মেলার আয়োজন করা হলেও শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার মানুষের পদচারণায় মেলাটি লোকজ ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত সাংস্কৃতিক উৎসবের মধ্যদিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটে।
জানাগেছে, খাশিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান বিএম বরকত উল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের উদ্যোগে ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিনব্যাপী ইউনিয়ন সেবা মেলার আয়োজন করা হয়। আর্থিকভাবে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছেন চেয়ারম্যান বিএম বরকত উল্লাহ এবং তাঁর বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীরা।
মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, পিঠা উৎসব, কৃষকদের সংবর্ধনা, গুণীজন সংবর্ধনা, ১৬টি স্টলের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প, বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির ধানের প্রদর্শনী, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ইউনিয়ন বাসীর বিভিন্ন প্রকার সেবা গ্রহণ, গত এক বছরে বর্তমান পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম সহ বিভিন্ন তথ্য অবহিত করা হয়।
ইউনিয়ন সেবা মেলা নামকরণ করা হলেও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের বাইরেও অন্তত দুই শতাধিক দোকানপাট বসে। এসব দোকানে জমজমাট বিক্রি লক্ষ্য করা গেছে।
প্রথমদিন গত ১৩ জানুয়ারী উদ্বোধন করেন নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জোবায়ের হোসেন চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কালিযা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরিন জাহান। সমাপণী দিনে কৃষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবীর কুমার বিশ^াস। সভাপতিত্ব করেন খাশিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান বিএম বরকত উল্লাহ।
আয়োজক খাশিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান বিএম বরকত উল্লাহ বলেন,‘ আমি এক বছর হলো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমি কতটুকু স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে পেরেছি, কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কিনা এবং জনগন ইউনিয়ন থেকে কি কি সেবা পাবেন সে বিষয়ে ইউনিয়নবাসীকে জানানোর জন্যই এই মেলার আয়োজন। মেলায় মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া পেয়েছি। আমি বর্ষাকালে মহান মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করে ১৯৭১টি ফল ও ফুলের চারা সড়কে রোপন করেছি। এছাড়া প্রতিটি বাড়িতে একটি করে ফল ও ফুলের চারা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। জনগন আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি চেষ্টা করছি তাদের আশা-আকাঙ্খা পুরণ করার।’
প্রধান অতিথি নড়াইলের অরিক্ত জেলা প্রশাসক জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন,‘ খাশিয়াল ইউপি চেয়ারম্যানের এই আয়োজন সত্যি ব্যতিক্রমধর্মী। নিজ ইচ্ছায় এমন আয়োজন তেমন কাউকে করতে দেখা যায় না। বিএম বরকত উল্লাহর এই আয়োজন অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবরা অনুকরণ করলে তাদেরও জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে আমি মনে করি।’