দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় ৬বছর পর প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগমকে(৪৯) হত্যার দায়ে স্বামী হেদায়েত শেখকে (৫৫) মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: কেরামত আলি এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ হেদায়েত শেখলোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পদ্মবিলা গ্রামের মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে। এ মামলার বাদী ছিলেন নিহত মমতাজ বেগম ও দন্ডপ্রা প্তআসামী হেদায়েত শেখেরে ছেলে রবিউল ইসলাম। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর দ্বিতীয় স্ত্রী আনজুয়ারা বেগমসহ দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলার বিবরণে জানা গেছে, পদ্মবিলা গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে হেদায়েত শেখ ঘটনার ৫/৬ বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আঞ্জুয়ারা নামে একজন মহিলাকে। বিয়ের পর থেকে স্বামী সতীনের সংসারে দন্ড চলে আসছিলো। ২০১২ সালের ৩ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে বাদী নিহতের ছেলে রবিউল ইসলাম তার মা মমতাজ বেগমকে রাতের খাবার খাইয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে বাদী তার মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ সময় বাদী তার বাবা হেদায়েতের লুঙ্গিতে রক্ত দেখে কারণ জানতে চান। তার বাবা বলে সকালে তিনি একটি গরু জবাই করেছেন বলে জানান। এই বলে হেদায়েত শেখ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম পালিয়ে যায়।
পরে বাদীসহ তার আত্মীয়-স্বজনরা পদ্মবিলা বিলের মধ্যে আসাদুজ্জামানের জমির মধ্যে মমতাজ বেগমের মৃতদেহ পায়। মৃতদেহের গলা কাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
এ ঘটনায় ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের স্বামী মো. হেদায়েত শেখ, মো. খলিল শেখ ও আঞ্জুয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালতে ১৪জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মো. হেদায়েত শেখকে
ফাঁসির আদেশ, ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।