নড়াইলে পলাশ হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ

নড়াইল প্রতিনিধি।।

নড়াইলে চাঞ্চল্যকর পলাশ মোল্যা হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও মৃত্যুদÐাদেশ প্রত্যেক আসামীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের মৃত আবুল খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা, মরিচপাশা গ্রামের মৃত মোক্তার সর্দারের ছেলে জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া ও
আড়পাড়া গ্রামের মোঃ আবুকার শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদÐ প্রাপ্ত আসামি জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে অপর দুই আসামি আনারুল মোল্যা ও নাজমুল শিকদার পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ জুন সকাল ৭ টায় লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যাকে(২৫) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামী আনারুল মোল্যা, জিনারুল ইসলাম এবং মো.নাজমুল শিকদার। তারা ৪০ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ মোল্যাকে অপহরন করে। পরে ২৬ জুন মাগুরা জেলার সদর থানার ধানখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীরের পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। ৮ জুলাই পলাশ মোল্যার পরিবার বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে এবং ছবি দেখে নিহতর লাশ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহত পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায়
অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলাটি রাষ্টপক্ষে পরিচালনা করেন জজকোর্টের পিপি সৈয়দ এমদাদুল ইসলাম এমদাদ। পিপি সৈয়দ এমদাদুল ইসলাম এমদাদ বলেন, ‘অপহরণ ও হত্যা মামলায় আনারুল মোল্যা, নাজমুল শিকদার ও তারা মিয়াকে ৩০২ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদন্ড করা করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে ২০১ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদÐ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৩৬৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরেরর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন বিচারক। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের পর এ আদেশ কার্যকর হবে।’ এদিকে মামলার রায় ঘোষণার পর আসামীদের আত্মীয় স্বজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তবে বাদীপক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতার সহ রায় দ্রত কার্যকরের দাবি জানান।

একে/অননিউজ২৪

আরো দেখুনঃ