নড়াইলে মহালয়ের রাতে একটি মন্দিরের দুর্গাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের মিরাপাড়া বাজার সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে এঘটনার পর নড়াইল জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান, পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীরসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের খুজে বের করাসহ সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায় যাথে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় উৎসব উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মিরাপাড়া বাজার সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি প্রদীপ রায় বলেন, ‘রাত ১ টা পর্যন্ত আমরা মন্দির কমিটির সদস্যরা মন্দিরে অবস্থান করার পর লাইট জ্বালিয়ে সবাই বাড়ি চলে যাই।
পরে সকালে ভাস্কররা প্রতিমায় রং-তুলির কাজ করতে এসে দেখেন কে বা কারা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসেছিলেন। তারা আমাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক
বিষয়ে আশ^স্থ করেছেন। আমরা পূজা করবো। প্রতিমা সংস্কারের কাজ আবার শুরু হয়েছে।’এ বিষয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক বাবুলাল ভট্টাচার্য ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, পূজার মাত্র আর ক’দিন বাকি। এর মধ্যে যারা সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট করছে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মো: সাইফুল ইসলাম প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনী এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে। এ ছাড়া মন্দির কমিটিকে বেশ কয়েকটি দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেমন- সারা রাত রাতে পাহারার ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা সেট করা এবং মন্দির সংরক্ষণের জন্য মন্দিরের গ্রীলের গেটের ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত, এবার নড়াইল জেলার তিন উপজেলায় ৫শ ৫৮টি মন্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।
একে/অননিউজ24