নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামে মাটির ঘরে সিধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে সবিতা রানী বালা (৫৫) নামে একজন প্রধান শিক্ষিকাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দিনগত গভীর রাতে এ হত্যাকান্ডটি ঘটে। দুর্বৃত্তরা ওই শিক্ষিকার ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।
সবিতা বালা ৮৫নং চরদৌলতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের পরিতোষ কুমার মন্ডলের স্ত্রী। তারা ছিলেন নিঃসন্তান দম্পতি।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত সবিতা বালা ও তার স্বামী পরিতোষ মন্ডল ঘরে একই সঙ্গে ছিলেন। এরপর তারা দুজনে আলাদা রুমে ঘুমোতে যান। রাত ৩টার দিকে স্বামী পরিতোষ মন্ডল পূজা করার জন্য ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলতে যান। তখন বাইরে থেকে বন্ধ পাওয়ায় তার মনে সন্দেহ হয়। তখন স্ত্রীর রুমে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরিতোষ মন্ডলের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সবিতা বালার গলায় একটি গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি যাতে চিৎকার করতে না পারে সেজন্য তার মুখের ভীতের গামছা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো।
দুর্বৃত্তরা সবিতা বালার কাছে থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, দুটি হাতের বালা, একটি হাতের আংটি, এক জোড়া কানের দুল, একটি ল্যাপটপ সহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তবে অনেকে ধারণা করছে, চুরি করতে আসায় চোরদের নিচে ফেলার কারনে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ সবিতা বালার মুখের মধ্যে কাপড় ঢুকানো দেখতে পায় । ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর দূর্বত্তরা স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মুল্যবান কিছু জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তসহ তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আটকের জের চেষ্টা চলছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক সবিতা বালা রানীকে হত্যার ঘটনায় শিক্ষক সমাজের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খবর শোনার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষকরা তার বাড়িতে ভীড় করছেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
আই/অননিউজ২৪।।