বিশ্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের আয়োজনে শহরের রূপগঞ্জ বাঁধাঘাট চত্ত¡রে সাংস্কৃতিক জোটের ২২টি সংগঠন কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন। শিল্পীরা একে একে বিশ্ব রবীন্দ্রনাঠ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আগুনের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে/মোরা একই বৃন্তে দু’টি কুশুম হিন্দু মুসলমানসহ ১৪টি গান ও ৬টি নৃত্য পরিবেশন করেন এবং ৪টি কবিতা আবৃত্তি করেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে সংগীত ও কবিতার ফাঁকে ফাঁকে দু’কবির ওপর আলোচনায় অংশ নেন নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাধারণ) শশতী শীল, প্রফেসর অশোক কুমার শীল, নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সহ-সভাপতি মাহবুব-ই-রসুল অরুণ, আ.ন.ম নজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু, যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিটু, শামীমূল ইসলাম টুলু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঔপনিবেশিক বৃটিশ আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, বাঙ্গালির জাগরণ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের গান-কবিতা আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁরা সাম্প্রদায়িকতা ও সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। তাঁরা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। তাঁদের আদর্শ পথ, সত্য, সুন্দর, সাম্যের গানের অনুপ্রেরণায় মানুষ উজ্জীবিত হবে যুগে যুগে। তাই তাঁরা এখনও আমাদের সমস্ত অভিযাত্রায় প্রাসঙ্গিক।
একে/অননিউজ24