নড়াইল প্রতিনিধি
‘ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ; আমাদের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নড়াইল শহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকালে শিক্ষকদের সাথে ও বিকালে ব্যাংকারদের সাথে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার রনোতোষ সেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোকসুদুল হক, নড়াইল শহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জাহিদুল ইসলাম, ইঁঁচড়বাহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিকদার আব্দুল আলীম, ভদ্রবিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আবুল বাশার, বলরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা ইয়াসমিন দীপু, উত্তর সিঙ্গিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন রেন্টু, শিক্ষক নেতা আশিকুর রহমান দীপ, বদরুল আলম লিংকন প্রমুখ।
বিকালে একই মঞ্চে নড়াইল জেলার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।
সোনালী ব্য্যাংক পিলএলসি নড়াইল অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও অঞ্চল প্রধান মনোতোষ সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, প্রধান আলোচক সোনালী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মোঃ আতাউর রহমান প্রধান। এসময় জেলার বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার মেয়াদ আর এক থেকে দেড় মাস আছে। অনেকেই এই সময়কে কম সময় মনে করে। আমি মনে করি,প্রতিটি দিনই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট করে কাজ করলে অনেক বড় কাজ করান যায়। আমি মনে করি এই দেড় মাস খুবই গুরুত্বপূর্ন সময়। আমি যদি এই দেড় মাস কাজ করতে পারি , সব জায়গার সমাধান করতে না পারলেও কিছু কিছু জায়গার সমস্যা সমাধান করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে একটি স্বাধীন ভ-ুখন্ড পেয়েছিলাম। তার অবর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মাট বাংলাদেশে উত্তরণের জন্য আজ বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে। এই স্বপ্নের যারা সারথী আছে, এই স্বপ্ন আমরা যারা দেখছি। মাননীয় প্রধানিমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যারা স্মাট বাংলাদেশের কথা বলছি, তার প্রথম সারিতেই কিন্তু শিক্ষক।‘ স্মাট বাংলাদেশ” গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষক জাতি গঠনে শ্রেষ্ট হাতিয়ার, শিক্ষক হলেন জাতির মেরুদন্ড, আমি মনে করি প্রত্যেক স্কুলে আমরা যদি একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি। নতুন প্রজন্ম যারা উঠে আসছে, নতুন প্রজন্ম যারা ভবিষ্যতকে নেতৃত্ব দিবে তারা অবশ্যই স্মাট বাংলাদেশ গঠনে সাহায্য করবে।
বিগত সাড়ে ৪ বছরে অনেক স্কুলে গিয়েছে , সমস্য সমাধোনের চেষ্টা করেছি, কিছু করতে পেরেছি কিছু পারিনি। এই কারণে আপনাদের সাথে বসা , যাতে অনেক কিছু উঠে আসবে।