নড়াইল-১ আসনের সাবেক এমপি বিএম কবিরুল হক মুক্তি, কালিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান শামীম রহমান, যুবলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী ছরোয়ার, কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান কায়েসসহ ১৩৭জনের নামে নাশকতার মামলা করেছেন বিএনপি নেতা মোঃ সরাফত আলী সবো।
বুধবার (২৮ আগস্ট) নড়াইলের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইবুনাল আদালতে মামলাটি দাখিল করলে বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা বাদীর জবানবন্দী গ্রহন করে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করার নির্দেশ দেন।
আদালতে দাখিলকৃত মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১সেপ্টেম্বর বিকেলে বাদীসহ বিএনপির লোকজন নড়াগাতি কেজি স্কুল মাঠে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনকালে আসামীগণ বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, শর্টগান, বন্দুক ও হাতবোমাসহ বিএনপির সমাবেশে আক্রমন ও বোমার বিষ্ফারণ ঘটিয়ে সমাবেশ পন্ড করে দেয়। এ সময় তারা শর্টগান ও বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় বাদী থানায় মামলা করতে গেলে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকায়
আসামীদের প্রভাবে থানা কর্তপক্ষ মামলা গ্রহণ করেনি। ফলে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে মর্মে বাদী আরজীতে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে নড়াইলের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা বাদীর জবানবন্দী গ্রহন করে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার নির্দেশ দেন।
এদিকে এর আগে গত ২৬ আগষ্ট নড়াগাতী থানায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে আরো একটি বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ৯৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অপ্সাত ৫০/৬০ জনকে আসামী করা হয়।