উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারী
স্বাস্থ্যসেবাদানকারী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে
নড়াইলে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮ মে) ন্যাশনাল
হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
কর্মসূচির আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
নড়াইল সিভিল সার্জন অফিসের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার
উদ্বোধন করেন নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা: আঃ রশিদ। কর্মশালায় হৃদরোগ,
ডায়বেটিস সহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধান
প্রশিক্ষক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল
ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডাঃ শামীম
জুবায়ের, বিশেষ অতিথি সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা: উদিত প্রয়াস
সিকদার প্রমুখ।
কর্মশালায় আলোচকবৃন্দ জানান, হৃদরোগে মৃত্যুর হার কমাতে নড়াইল জেলার ২টি
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্ণারে সেবার মান উন্নত হচ্ছে। বহু
মানুষ অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের ফলে হার্ট এটাক, স্ট্রোক ও
অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস সহ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডি) কর্মসূচীর উদ্যোগে
ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগে
হৃদরোগে মৃত্যুও হার কমাতে সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করেছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা: আঃরশিদ বলেন, এ বছরের মধ্যে দেশে
হৃদরোগজণিত মৃত্যুরহার এক চতুর্থাংশ কমিয়ে শতকরা ২৫ ভাগে, উচ্চ রক্তচাপের
ব্যাপকতা কমিয়ে ১৮ভাগে নিয়ে আসা এবং একইসাথে লবণ ব্যবহারের হার
শতকরা ২৫ভাগ কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নড়াইল জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্ণারের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস সহ
অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা, পরামর্শ ও ঔষধ
প্রদান করছে। এদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপের
রোগী পাওয়া যায়, যা অত্যান্ত উদ্বেগজনক। এই কর্ণার গুলো থেকে প্রাপ্তবয়সী
সকলকে আধুনিক ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে রক্তচাপ পরিমাপ করা হবে এবং
সকল রোগীর তথ্য সিম্পল এ্যাপস ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া তাদের
উচ্চরক্তচাপ ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের হার মনিটরিং এর কাজ করবে।
দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার,
নার্স, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, স্টোরকিপার ও
পরিসংখ্যানবিদগণ উপস্থিত ছিলেন।
মজ/অননিউজ২৪