নড়াইল জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা সফল জননী শাহীনূর খানমকে সম্মাননা
নড়াইল প্রতিনিধি
সফল জননী হিসেবে নড়াইল জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতা মোছাঃ শাহীনূর খানমকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে এ সম্মাননা দেয়া হয়। এসময় স্বীকৃতি স্বরূপ একটি সনদপত্র দেয়া হয়।
জানা গেছে, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা মোছাঃ শাহীনূর খানম লক্ষীপাশা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুন্সী তবিবুর রহমানে স্ত্রী। জয়িতা শাহীনূর খানম বিএসএস পাশ। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, আর্থিক দৈন্যতা, ধর্ম ভিরুতাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সন্তানদের সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। পরিবারেও এনেছেন স্বচ্ছলতা। নিজেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে চাকুরী জীবন শেষ করেছেন।
সফল জননী শাহীনূর খানমের মোট চারটি সন্তান। এদের মধ্যে ৩টি সন্তান ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। জয়িতা শাহীনূর খানমের প্রথম সন্তান রহীমা খানম লোহাগড়া উপজেলার ছাতড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। দ্বিতীয় সন্তান আ,ন,ম শহীদুর রহমান চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হিসাব ভবনে কর্মরত আছেন। তৃতীয় সন্তান রেক্সোনা খানম সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। চতুর্থ সন্তান আ,ন,ম শাহাবুদ্দিন শিহাব বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে নড়াইল জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সফল জননী শাহীনূর খানমকে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী রানী মজুমদার সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মাননা গ্রহণকালে সফল জননীর চারটি সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সফল জননী হিসেবে এমন সম্মাননা পেয়ে সকলেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এক প্রতিক্রিয়ায় দ্বিতীয় সন্তান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার আ,ন,ম শহীদুর রহমান বলেন,‘ আম্মার এই প্রাপ্তিতে আব্বা বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি বেশি খুশি হতেন। আব্বা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং একজন শিক্ষক ছিলেন। আমরা আমাদের মায়ের সম্মাননায় খুশি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন পিতা-মাতার দোয়া ও তাঁদের আদর্শকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।’