দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন নড়াইল-১ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হক।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কালিয়া প্রেসক্লাব হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এ সময় চন্দনা হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পরেও কৌশলগত কারণে আমি (চন্দনা হক) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। জন্মগতভাবে আমি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই আমার স্বামীর জন্য বিগত দিনের মত দলীয় প্রতীক নৌকার ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত থাকার কারণে এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী বি.এম.কবিরুল হক মুক্তি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হারুনার রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা ইমদাদুল হক ও মাকলুকার চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহীম শেখসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বি.এম. কবিরুল হক মুক্তি ও চন্দনা হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কালিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
বিভিন্নসূত্রে জানাগেছে, নড়াইল-১ আসনটি শরীকদলের কাউকে ছেড়ে দেয়ার আশঙ্কায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি তার স্ত্রী চন্দনা হককে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে দাড় করিয়ে রাখেন। তবে আসনটি শরীক দলকে ছাড় দিতে না হওয়ায় চন্দনা হক প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন বলে বিভিন্ন মহল জানিয়েছেন। নড়াইল-১ আসনে মোট ৬জন প্রার্থীর মাঝে গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর কারনে ৫জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নড়াইল সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও কালিয়া উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন-৯৩, নড়াইল-১ আসনটি গঠিত।
এফআর/অননিউজ