নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাবেক লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু নির্বাচন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন। এই আসনে সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু ছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী।
বুধবার (৩ জানুয়ারী) দুপুরে নড়াইল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পরিবারের সদস্য ও অনেক শুভাকাঙ্খীদের অসম্মতির কারনে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন। অন্য কোন চাপ ছিলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আওয়ামীলীগ বা প্রশাসনের কোন চাপ ছিলো না। শুধমাত্র পরিবার ও কিছু শুভাকাঙ্খীদের অসম্মতির কারনে তিনি শেষ মুহুর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুর প্রতিক ছিলো ট্রাক। এর আগে তিনি লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে একাধিক সূত্র বলছে, মনোনয়ন বঞ্চিত এবং বিগত সময়ে বিভিন্ন কারনে সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ওপর অসন্তোষ থাকায় সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুকে নির্বাচন করার অনুরোধ করেছিলেন। নির্বাচনী মাঠে থাকার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু প্রার্থী হলেও শেষ পর্যন্ত ওই সকল নেতৃবৃন্দ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নামেননি। যার কারনে ফয়জুল আমির লিটু নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন।
সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু প্রতিদ্ব›িদ্বতা থেকে সরে যাওয়ায় নড়াইল-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রইলো ৭জন। এরা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেট তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (হাতুড়ী) সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরেজ, এনপিপি’র (আম) মোঃ মনিরুল ইসলাম, গণফ্রন্টের (মাছ) মোঃ লতিফুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের (মিনার) মোঃ মাহবুবুর রহমান ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী (ঈগল) মোঃ নূর ইসলাম।
এফআর/অননিউজ