নড়াইলের নড়াগাতী থানার তালবাড়িয়া গ্রামে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় নিলয় মোল্যা(১৭) নামে এক তরুনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় নিলয় মোল্যার সঙ্গে থাকা তামিম খান নামে অপর এক বন্ধুকে কুপিয়ে আহত করা হয়। শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ১২টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলয় মোল্যা নড়াগাতী থানার টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্যা ওরফে পিকু মোল্যার ছেলে। সে ৪বছর আগে টোনা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। এছাড়া তামিম খান একই গ্রামের ইকরাম খানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নড়াগাতী থানার ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খান (১৭) গত ১৫ দিন আগে টোনা গ্রামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনায় নিলয় প্রতিবাদ করে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। এ ঘটনায় শাকিল খান নিলয়কে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে যায়।
শুক্রবার রাতে নিলয় মোল্যা ও তামিম খান পার্শ্ববর্তী তালবাড়িয়া গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনে বাড়ি ফিরছিলো। পথিমধ্যে মাহফিলের কিছুটা দুরে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা শাকিল খান ও তার সঙ্গীরা নিলয়কে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় ঠেকাতে গিয়ে নিলয় মোল্যার সঙ্গী তামিম খান গুরুতর আহত হন।
তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তাদেরকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পার্থপ্রতীম বিশ্বাস নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
টোনা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইকবাল সাঈদী বলেন,‘ নিহত নিলয় ৪ বছর আগে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত টোনা আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছে। এরপর আর পড়াশোনা করেনি।’
খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম বরকত উল্লাহ বলেন,‘নিলয় মোল্যা হত্যাকান্ডের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খবর শুনে আমি এলাকায় গিয়েছি। এলাকায় যাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই।’
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্ত নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।