দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে শয়নকক্ষ থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় হাফিজুল ইসলাম (৭০) ও তার স্ত্রী ফেন্সী বেগম (৫৫)নামের এক দম্পত্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় শয়ন কক্ষ দু'টির কাপড় চোপড়সহ আসবাবপত্র তছনচ অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিলো। তাদেরকে রাতের কোন একসময় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে এটি ডাকাতি নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুড়িয়া ইউনিয়নের নির্শা কাজলদিঘী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়দের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাদের নিজ ঘর থেকে ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত আহাদ আলীর ছেলে, ফেন্সি বেগম হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, হাফিজুল ইসলাম ও ফেন্সি বেগম দম্পত্তির ছেলে ও মেয়ের বিবাহ চাকুরির সুবাদে অন্য জায়গায় থাকতেন। যার কারনে ওই দম্পত্তি বাড়িটিতে একাই থাকতেন। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তারা দুজনে। শুক্রবার সকালে এক মাংস বিক্রেতা বাড়িটিতে থাকা ওই দম্পত্তিকে মাংস দিতে আসেন।এসময় তাদের অনেক ডাকাডাকি করে কিন্তু কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে তাদের মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের ডেকে আনলে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় ফেন্সি বেগমের মুখে টেপ পেচানো ছিল ও হাফিজুলের মরদেহ কম্বল দিয়ে মোড়ানো এবং দুজনের মরদেহ হাতপা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। হাফিজুর রহমান জমি কেনার জন্য বেশ কিছু টাকা ব্যাংক থেকে তুলে এনে বাসায় রেখেছিলেন, সেই টাকার উদ্দেশ্য এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে কিনা সেই সংশয় ব্যাক্ত করেছেন তার স্বজনরা। একইসাথে তাদের হত্যাকান্ড যারাই সংগঠিত করেছেন তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানান।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানিয়েছেন, হত্যার বিষয়ে এখনি বিস্তারিত কোন কিছু বলা যাচ্ছেনা।তবে হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে সিআইডির একটি টিম দিনাজপুর থেকে রওনা দিয়েছে। তারা এসে লাশটি ঘর থেকে বের করে প্রাথমিক সুরতহাল করবে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।