ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামে অবস্থিত দয়াল বাবা তিতু শাহ মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকের আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী মাজারের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে এসব বেহায়াপনা বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত দুই বছর ধরে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি দয়াল বাবা তিতু শাহ (রহ.) মাজার শরীফের রওজাসহ কবরস্থানে নিয়মিত গাঁজা ও মদের আসর বসাচ্ছে। একই সাথে তারা দুরদুরান্ত থেকে নারীদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবছর এ মাজার শরীফে তিন দিনব্যাপী ওরশে মিলাদ মাহফিল, যিকির, নামাজ, ফাতেহা পাঠ ও কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই বিশেষ দিনটিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উলামায়ে কেরামসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত হয়ে মিলাদ মাহফিল ও জিকিরে অংশ নেন। গ্রামবাসীরা দূরদূরান্ত থেকে আসা এসব আগন্তকদেরকে বরণ করে নিতেন। এমনকি গ্রামবাসীরা তাদের থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা করতেন। এই তিন দিন জিকিরের ধ্বনিতে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করতো মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু গুণী ব্যক্তিদের জন্য প্রসিদ্ধ রসুল্লাবাদ গ্রামে।
অত্যন্ত আক্ষেপের সুরে গ্রামবাসীরা বলেন, জায়গা সংকটের কারণে একেবারে রওজার পাশেই প্রভাবশালী মহলের লোকেরা গানের আসর বসানোর পাশাপাশি মদ-গাঁজার আসর এবং নারীদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। রওজার কাছে একটি মাদ্রাসাও রয়েছে। এতে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ এবং মাজারের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিব্রত হচ্ছেন। এই নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালী ওই পক্ষের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। অতীতে এসব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কথা বলে গ্রামের কয়েকজন নাজেহাল হয়েছেন।
এ অবস্থায় রসুল্লাবাদ গ্রামের সাধারণ মানুষেরা এ অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রমান পেলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।