কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ৪নং বেরুবাড়ী ইউনিয়নের বেরুবাড়ী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মামুন উল হকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও অবাধে প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তনসহ নানা দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত মাসের ১৯ আগস্ট অএ ইউনিয়নের সচেতনমহল জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন।এ অভিযোগে সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল তৎকালীন প্রতিষ্ঠানের ৪০ টি ইউক্যালিপটাস গাছ কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই কর্তন করে যাহার আনুমানিক বাজারমুল্য ৪ লক্ষ টাকা যাহা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমুলক কাজে ব্যয় করার কথা থাকলেও কোন কাজ করেন নি।
প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে নিজের পচ্ছন্দের প্রাথী মামুন উল হককে উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মামুন উল হক কালীগঞ্জ মহাবিদ্যালয়েন প্রভাষক ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বাগিয়ে নেওয়ার জন্য এই মামুন উল হকের মেয়েকে খাতা কলমে ভর্তি দেখায় ছাএী হিসাবে।
কিন্তু বাস্তবে মামুন উল হকের মেয়ে রংপুর পুলিশ লাইন স্কুলে লেখা পড়া করো।
ক্ষমতার দাপটে মামুন উল হক উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সেজে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেন ৬ টি পদে নিজের পচ্ছন্দের প্রাথীকে।
একাধিক বিশ্বস্তসুএে জানা যায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল ও সভাপতি মামুন উল হক ৬ টি পদে প্রায় নিয়োগ বাণিজ্য করে ৮০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।
উক্ত নিয়োগ বাণিজ্যের টাকায় প্রতিষ্ঠানের ১টি টাকার সমতুল্য কোন উন্নয়ন কাজ না করে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ভাগাভাগি করে নেয়।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট সুবিচার পাবে বলে এলাকার সচেতন মহল ও প্রতিষ্টানের কয়েকজন সহকারী শিক্ষিক সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি মামুন উল হকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
অন্য দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়ালের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নাগেশ্বরী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদে জানান এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।