সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে পাঁচ রানের নাটকীয় জয়ে প্লে অফের দৌড়ে এখনও টিকে রইল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল হায়দরাবাদের। কিন্তু বরুণ চক্রবর্তীর নৈপুণ্যতায় দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন ভুবনেশ্বর কুমার ও মায়াঙ্ক মারকান্দে। বৃহস্পতিবার হেরে গেলে শেষ হয়ে যেত কলকাতার আইপিএল অভিযান। সেই জায়গায় হায়দরাবাদকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল কেকেআর।
১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে আছে কলকাতা। ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে হায়দরাবাদ। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস। বাকি চারটে ম্যাচ এখনো কেকেআরের কাছে মরণবাঁচনের। একটা ম্যাচে হারলে সব শেষ।
বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। দুই ওপেনার জেসন রয় এবং গুরবাজ শুরুটা ভালো করতে পারেননি। গুরবাজ খাতা খুলতে পারেননি। ভেঙ্কটেশ আইয়ার চার বলে সাত রান করে আউট হন। ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কেকেআর তখন ধুঁকছে। জেসন রয় মাত্র ২০ রানে আউট হন। তখন কেকেআরের রান ৩৫। চলে যায় তিন-তিনটি উইকেট।
এর পরই ইনিংস গোছানোর কাজ করেন নাইট অধিনায়ক নীতীশ রান ও রিঙ্কু সিং। দুজনে ৬১ রানের পার্টনারিশপ গড়েন। মার্করামের বলে নাইট অধিনায়ক আউট হন। নিজের বলে অনেকটা দৌড়ে মার্করাম দুর্দান্ত ক্যাচটি ধরেন। ৪ উইকেটে ৯৬ কেকেআর, এই পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নামেন আন্দ্রে রাসেল। তার কাছ থেকে এদিন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের প্রত্যাশা ছিল। শুরুতে রাসেল সেরকম ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। ঠিক যেসময়ে তাকে আরও বেশি করে দরকার ছিল নাইটদের, তখনই মারকান্দেকে মারতে গিয়ে নটরাজনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ক্যারিবিয়ান তারকা।
সুনীল নারিনও দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আউট হন। রিঙ্কু সিং লড়াই চালিয়ে যান। ৩৫ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন রিঙ্কু। শেষের দিকে অনুকূল রায় ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থেকে যান। ২০ ওভারে নাইটরা করে ৯ উইকেটে ১৭১।
১৭২ রান তাড়ায় নেমে ৫৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দরাবাদ। রাহুল ত্রিপাঠী ৯ বলে ২০, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১১ বলে ১৮, অভিষেক শর্মা ১০ বলে ৯ আর হ্যারি ব্রুক আউট হন শূন্য রানে। এ চার জনের বিদায়ের পর ম্যাচ চলে যায় কেকেআরের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে এইডেন মার্করাম ও এনরিখ ক্লাসেন ৭০ রান তুলে ম্যাচ আবার নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসেন।
দলীয় ১২৪ রানে ক্লাসেন আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন মার্করাম। ক্লাসেন ২০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করে আউট হন। মার্করাম আউট হন দলীয় ১৪৫ রানে। ৪০ বলে ৪ চারের মারে ৪১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তিনি যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য ১৯ বলে মাত্র ২৭ রান প্রয়োজন ছিল হায়দরাবাদের।
কিন্তু টেইল এন্ডার ব্যাটাররা সেটা নিতে ব্যর্থ হন। বিশেষ করে শেষ ওভারে মাত্র ৯ রান প্রয়োজন হলেও বরুণ চক্রবর্তীর করা ৬ বল থেকে ৩ রানের বেশি নিতে পারেননি ভুবনেশ্বর কুমার ও মায়াঙ্ক মারকান্দে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে পারে হায়দরাবাদ।
শান্ত/অননিউজ