নান্দাইলে এক মাদরাসা ছাত্র শিক্ষক কর্তৃক বলাৎকারের শিকার হয়েছে। উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের কূলধুরুয়া গ্রামে দারুস সালাম ক্যাডেট মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শাকিল মাহমুদ তামীম ওই মাদরাসার মোহতামিম। বলাৎকারের শিকার মাদরাসা ছাত্র অভিযোগ করেন,রাতের বেলায় ছাত্রদের দিয়ে হুজুর শরীর ম্যাসাজ করাতো। তারপর একই ছাত্র দিয়ে যৌন চাহিদাও মেটাতো ওই শিক্ষক। তার এমন কর্মকান্ডে প্রতি মাসে একেক ছাত্র যৌন নির্যাতনের শিকার হতো। সব সময় মোহতামিম ছাত্রদের চোঁখের নজরে রাখতেন যেন কেউ মুখ খুলতে না পারে।
বলাৎকারের শিকার মাদরাসা ছাত্র গত রবিবার মাদরাসার মোহতামিম শাকিল মাহমুদ তামীম বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে কৌশলে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। ভোক্তভোগী মাদরাসা ছাত্র কেন্দুয়া উপজেলার মনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে মুহতামিমের বিকৃত যৌনচারের কথা মুখ খুলে জানান। এবং অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। পরে সোমবার (১১অক্টোবর) সন্ধ্যায় বলাৎকারের শিকার ছাত্র তার মাকে নিয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ওই শিক্ষকের বিচার চাইছে আসে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল মাহমুদ তামীম পলাতক রয়েছে।
ভোক্তভোগী ছাত্র পুলিশকে জানান : মাদরাসার শিক্ষক শাকিল মাহমুদ প্রায়ই ছাত্রদের সাথে যৌনাচার করতো। ২০-২৫ জনের ছাত্রকে করেছে। এ ঘটনা ছাত্ররা যাতে কাউকে না বলতে পারে সেজন্য ছাত্রদের নজরে রেখেছেন। মাদরসার বাহিরে গেলেও হুজুরের অনুমতি নিয়ে যেতে হতো। শিক্ষক কর্তৃক বলাৎকারের শিকার মাদরাসা ছাত্র অসুস্থ কূলধুরুয়া গ্রামের মো. শরিফ হাসান বলেন, বাড়ির পাশে মাদরাসায় এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড হবে তা খুবই দু:খজনক। তদন্ত করে প্রমাণ হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।
মোশারফ হোসেন রিয়াদ বলেন,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র বলাৎকার এটা কাম্য নয়। এতে ছাত্ররা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল মাহমুদ তামীম পলাতক থাকায় তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার সম্ভব হয়নি। একটি মহল বিষযটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বলে বিশেষ একটি সুত্র থেকে জানা গেছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, ছাত্র তার মাকে থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করা হচ্ছে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইফুল ইসলাম সুমন,অননিউজ24।।