নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক।।

বুধবার নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার চেকপোস্টে গাড়ি বিস্ফোরণে দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ব্যাপক নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়। একটি দীর্ঘ ছুটির প্রাক্কালে এই ঘটনাটি ঘটল।

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল নিউইয়র্ক সিটির ৪শ’ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই চেকপোস্টে বিস্ফোরণে দু’জনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেছেন, এতে কোন ‘সন্ত্রাসী হামলার’ আলামত পাওয়া যায়নি।

হোচুল এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি একটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ঘটনা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এতে কোন সন্ত্রাসী সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই একে দুর্ঘটনা হিসেবেই ধারণা করা হচ্ছে।’

এখন পর্যন্ত নিহত দুই জনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে গাড়িটি পশ্চিম নিউইয়র্ক রাজ্যের হতে পারে বলে নিউইয়র্কের গভর্নর ধারণা করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগামী একটি গাড়ি একটি চেকপোস্টে সজোরে আছড়ে পড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে সম্পূর্ণ গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

হোচুল জানান, নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছে প্রধান রেনবো ব্রিজ ক্রসিংয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ইঞ্জিন ছাড়া সম্পূর্ণ গাড়িটি পুড়ে গেছে।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনাটি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টতই একটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা’।

যুক্তরাষ্ট্রে সফররত কানাডিয়ান মাইক গুয়েন্থার ‘সিবিএস নিউজ’কে বলেন, ‘আমরা গাড়িটিকে সীমান্তের দিকে নেমে আসতে দেখেছি এবং গাড়িটি যেন উড়ছিল। এটি ঘন্টায় ১শ’ মাইল বেগে ছুটছিল।’

তিনি আরো বলেন, গাড়িটি তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে যায় এবং চেকপোস্টের বেড়ায় সজোরো আছড়ে পড়ে প্রায় উড়ে যায়। এরপর আমরা শুধু আগুনের গোলা দেখেছি এবং গাড়িটির সর্বত্র ধোঁয়ায় ঢাকা ছিল।’

থ্যাঙ্কস গিভিং ছুটির প্রাক্কালে এই ঘটনাটি ঘটল। ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম দিনগুলোর মধ্যে এই সময়টি একটি। রেইনবো ব্রিজ কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যস্ততম ক্রসিং গুলোর মধ্যে। এখানে যানবাহনের ১৬টি লেন রয়েছে এবং মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন অনুসারে এটি সাধারণত চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে।

হোচুল বলেন, ঘটনাটির পর ১৪টি গলি জুড়ে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।

মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন জানিয়েছে, ঘটনার পর কাছাকাটি আরো তিনটি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরে তা আবার খুলে দেয়া হয়।

সূত্র; বাসস

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ