সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সারাদেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউপি নির্বাচন ইতিমধ্যে ৭ ধাপে সমাপ্ত করেছে বিগত সিইসি-স্থানীয় মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে। ১০১ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের জয় হলেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। আপাতত: নির্বাচন নেই দেশে। তারপরেও বর্তমান সিইসির আওতায় দেশে একটি উপজেলা, দুটি পৌরসভা এবং ২৫টি ইউপি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আগামী ২৭ জুলাই এতে কুমিল্লার ২টি ও শেরপুরের ১টি ইউপি নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই নৌকার প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আর সে আলোকে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর অত্যন্ত দুর্গম ও সীমান্ত এলাকা- রামচন্দ্রপুরা মন্ডলিয়াপাড়া ইউপি নির্বাচনের নৌকার একক প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম জুয়েল। এখানকার ১৬ হাজার ভোটারদের অধিকাংশ মানুষের পছন্দের তালিকায় এ জুয়েল। এছাড়াও এখানে নির্বাচনে আরো ৫/৬ জন প্রার্থী মাঠে আছেন। খোরশেদ আলম খোকা এর আগেও নির্বাচনের মাঠে ছিলেন। এবার নৌকার টিকেট না পাওয়াতে বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে থাকবেন। তবে জনগণ জুয়েলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। কেননা জুয়েল পারিবারিক ঐতিহ্যে লালিত আর ক্লিন ইমেজ নিয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় রাজনীতি করছেন। তার বাবাও এক সময় (১৯৭৯-৮০তে) গৌরীপুর কলেজের তুখোর ছাত্রনেতা ছিলেন। আর বর্তমানে এ এলাকায় ৩৩ বছর যাবত আওয়ামী রাজনীতিকে আগলে রেখেছেন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম। তারই যোগ্য সন্তান- আজকে প্রার্থী জুয়েল।
এ প্রসঙ্গে হাফিজুল ইসলাম জুয়েল বলেন, আমার অতীতের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার আর জনগণ এবং মাটি ও মানুষের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি বিবেচনা করে সিলেকশন কমিটি তথা আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দল থেকে এবার নমিনেট করলেন। আর এ জন্য আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আমার রামচন্দ্রপুরা মন্ডলিয়া পাড়া ইউপির জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে শুভেজ্ঞা জ্ঞাপন করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। জুয়েল আরো বলেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আর জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে আমি যেকোন প্রার্থীকে ডিঙিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে পারবো ইনশালাহ।
জুয়েল আরো বলেন, এখানকার মাননীয় এমপি সাবেক কৃষি মন্ত্রী অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় এতোদিন আমরা স্বচ্ছ রাজনীতি করে আসছি। তার নেতৃত্বে আওয়ামী ঘরনার সকল কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছি আমরা। নির্বাচিত হলে ইনশাল্লাহ আমার নেত্রীর দিক নির্দেশনায় সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাকে আরো স্বচ্ছল করে তুলবো।
পুরো নাম হাফিজুল ইসলাম জুয়েল। রামচন্দ্রপুরা মন্ডলিয়া পাড়া ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের ভোটার। বেড়ে উঠেছেন এ জনপদে। স্কুলের ছাত্রাবস্থা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগদের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সে সময় মিছিল মিটিং সমাবেশের মধ্য দিয়ে জুয়েলের উত্থাান। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি জুয়েলকে। বর্তমানে যুবলীগের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সক্রিয় সদস্য। পড়াশুনা শেষ করেছেন স্থানীয় নাজমূল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে। তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি আমার এলাকার জনগণের জন্য। এবার ইনশাল্লাহ জনগণ আমাকে ম্যান্ডেড দিবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এ ইউনিয়নকে অত্যাধুনিক ও ডিজিটাইলাইজড ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো। আমার ইউনিয়ন এলাকটি সীমান্তবর্তী এলাকা।
সীমান্তে যে ধরনের অপরাধ হয়- সেগুলোকে জিরো ট্রলারেন্সে এনে মাদকমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা এবং অত্যাধুনিক ডিজিটালাইজড ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো আগামী ৫ বছরে।