নীলফামারী প্রতিনিধি।।
জামায়াত-শিবির ও সন্ত্রাসীদের তান্ডবে বাড়ী ছাড়া পরিবারগুলো নিরাপত্তার সাথে বাড়ী ফিরে শান্তিতে বসবাস করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুসরত কুখাপাড়া (কুমার পাড়া) গ্রামের ২১টি পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী পরিবারের মাসুদ রানা, হায়দার আলী, চম্পা বেগম, লুৎফর রহমান, মাহফুজা আক্তার ও জামায়াত-শিবিরের আক্রমনের শিকার আইয়ুব আলীসহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান,‘জামায়াত-শিবির ও সন্ত্রাসী, অত্যাচারী, জুলুমবাজ, মিথ্যা মামলা বাজদের তান্ডবে দেড় বছর ধরে আমরা ২১টি পরিবারের সদস্যরা বাড়ী ছাড়া। নিরাপত্তার সাথে বাড়ি ফিরে শান্তিতে বসবাস করতে পারছি না। তাদের অন্যায় অত্যাচারে আমাদের ২১ পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকে ঘরছাড়া। এরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের দেখলেই দেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা ও পায়ের রগ কেটে দেওয়ার জন্য একাধিকবার ধাওয়া করে। এমন কি তারা অতর্কিত আক্রমনে আমাদের এলাকার আইয়ুব আলীর পায়ের রগ কেটে দেয় হয়। সে সহ ৪ থেকে ৫জন তাদের আক্রমনের শিকার হয়েছে। আমাদের সন্তানেরা ঠিকমতো স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে যেতে পারছেনা।’
ভুক্তভোগী সদস্যরা আরও অভিযোগ করে বলেন,‘কোনো কারণ ছাড়াই তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। বাড়ীঘর লুন্ঠন করে। আমাদের দুঃখ কষ্ট দেখে গত বছর শীতের সময় ২১টি পরিবারকে নীলফামারী-২ সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর টিউবওয়েল ও কম্বল দিয়েছেন। সন্ত্রাসী বাহিনীরা দিনের বেলাতেই সেই টিউবওয়েল তুলে নিয়ে গেছে। শুধু তাই না প্রতিদিন রাতে আমাদেরকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এবং তাদের ভয়ে প্রতি শুক্রবার মসজিদে ও ঈদের নামাজ আদায় করতে পারি না। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।’
এফআর/অননিউজ