দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। শোবিজে কাজ করার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি চলতি রমজানে সুস্বাস্থ্য ও রোগমুক্ত জীবন পেতে নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৪ টায় রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং অভিযানে যুক্ত হন ফেরদৌস। এ সময় গণমাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তার নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ খ্যাত এই নায়ক।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সচেতনতা বৃদ্ধি তো একদিনে সম্ভব না। এই ব্যাপারে প্রতিদিন সচেতন করতে হবে। প্রতিদিনই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। সেই বার্তা পৌঁছানোর কাজ নিয়েই আজকে এসেছি আমি। আমরা বাংলাদেশের ৮টি বিভাগেই যাব। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে ইচ্ছে আছে সবগুলো জেলা কাভার করার। প্রত্যেক এলাকার মানুষকেই বোঝাতে হবে যে, নিরাপদ খাদ্যটা কতটুকু জরুরি। আমি যেটাই খাচ্ছি সেটা আদৌ কতটুকু স্বাস্থ্যকর। আমি রাস্তা থেকে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পেয়ারা কিনে খাচ্ছি, সেই পেয়ারাটা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোয়া কিনা, সেই বিষয়গুলো মানুষকে বোঝাতে চাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে মুড়ি দিয়ে ছোলা খাব সেটা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত সেই বিষয়গুলো তাদেরকে বুঝতে হবে। আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক হয়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। গতকাল চকবাজার গিয়েছিলাম, সেটার ইফেক্ট সারা দেশে পড়েছে। রমজান মাসে সবাই কমবেশি ইফতারে ভাজা পোড়া খেয়ে অসুস্থ হয়। আমরা সবাই নিরাপদ খাদ্য চাই এবং এটা আমাদের অধিকার। সেই অধিকার থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, তাই এই সতর্কতামূলক কাজটি করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’
প্রসঙ্গত, এই কার্যক্রমের সময় অভিনেতার সঙ্গে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিমে আরও উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলীম, উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান, মো. মুনতাসির হাসান প্রমুখ।
ফরহাদ/অননিউজ