নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়া সহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জাতীয় সংসদ হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তাঁর বিরুদ্ধে আনিত আনিত অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছেন মাশরাফী।
শনিবার দুপুরে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণার অভিযোগ এনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফান।
এ প্রসঙ্গে শনিবার রাতে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা গণমাধ্যমেকে মাধ্যমকে জানান, তিনি নড়াইলে অবস্থান করাকালীন শুধুমাত্র নিহত আওয়ামী লীগ নেতা, লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ওই বাড়িতে অবস্থানকালীণ সময়ে নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপণ ও ঘটনার সাথে জড়িতদের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার, কোনো কারণেই বাড়ির বাহিরে কোথাও কোনো নেতাকর্মী বা লোকজনের সাথে দেখা করেননি।
মাশরাফী বলেন, ’আমি নিশ্চিত, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের এমন কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না ওই প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যাপারটি নিয়ে কথা হয়েছে। ওই প্রার্থীর অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ওইপ্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করব। এটা অনেকটা মিডিয়া অ্যাটেনশন পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতার অংশ ছাড়া কিছুই না।’
জেলা রিটার্ণিং অফিসার বরাবর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাংলাদেশ সরকারের কোনো মন্ত্রী, হুইপ বা এমপি তার নির্বাচনী এলাকার কোনো উপজেলায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে পারবেন না। কিন্তু মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নড়াইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার (আনাস) পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার চালাচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধির প্রকাশ্য লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হুইপ ও সংসদ সদস্য মাশরাফী বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণের বিষয়ে কিছু না জানিয়েই তিনি বলেন, 'প্রোগ্রামে আছি। প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে কি আপনার সঙ্গে কথা বলব?' পরে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
নড়াইল সদর উপজেলা ও লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শ্বাশতী শীল বলেন, ’শুধু আজকের অভিযোগই নয় তোফায়েল মাহমুদ এ পর্যন্ত ৭টি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখতে সব প্রার্থীকেই গুরুত্ব দিয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আজকের অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ অভিযোগকারী দেননি। তাকে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’