কুমিল্লার দেবিদ্বারে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিলেন স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো.আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচনে শপথ নেওয়ার দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ঘোষণা দেন তিনি। এতে উপজেলার প্রায় দুইশতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ড, অটোরিক্সা, পিকআপ ভ্যান থেকে চাঁদা (জিপি) আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণায় ক্ষুদ্র যানবাহন চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
জানা গেছে, দেবিদ্বার পৌরসভাসহ দেবিদ্বার উপজেলার, বাগুর, গুনাইঘর, ফতেহাবাদ, ভানী, রাজামেহার, এলাহাবাদ, শালঘর, ইউসুফপুর, রসুলপুরসহ প্রায় ২ শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ডে বিগত ১০ বছর যাবত সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নাম ভাঙ্গিয়ে তাঁর লোকজন ইজারা নিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের জিবির নামে লক্ষ লক্ষ চাঁদা আদায় করা হতো। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আবুল কালাম আজাদ ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে দেবিদ্বার উপজেলার সকল স্ট্যান্ডে জিবির নামে চাঁদা আদায় বন্ধ করা হবে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার সকালে শপথ নেওয়ার পর দেবিদ্বারের সকল প্রকার সিএনজি স্ট্যান্ডে সিএনজি, অটোরিক্সা, পিকআপ ভ্যানে জিবি নামে চাঁদা বন্ধের ঘোষণা দেন।
স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির কারণে অনেকটাই অতিষ্ঠ ছিল খেটেখাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। ফলে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে রায় দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
সিএনজি চালক বারেরার আবদুল আলিম, রাজামেহারের বিল্লাল হোসেন জানায়, দীর্ঘদিন আমরা এই চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলাম। চাঁদা দিতে রাজী না হলে অসংখ্য চালককে নির্মম নির্যাতনও করেছেন তাঁরা। আমরা পেঠের দায়ের সিএনজি চালাই চাঁদাবাজরা দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক বিভিন্ন হারে আমাদের কাছ থেকে চাদা আদায় করত।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত আবুল কালাম আজাদ বলেন, গরিব অসহায় মানুষের কাছ থেকে যারা চাঁদা নিয়েছে তাঁরা এ নির্বাচনে সঠিক জবাব পেয়েছে। আমি এসেছি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। কোনো সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি চলবে না। মানুষ স্বস্তিতে থাকবে, ব্যবসা বাণিজ্য করবে, স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে। সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ কওে সমৃদ্ধ দেবিদ্বার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করব।
এফআর/অননিউজ