দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেফেনী-৩ (দাগনভূঁইয়া-সোনাগাজী) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী সাংবাদিক ও কলামিস্ট রিন্টু আনোয়ার আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তার মার্কা ছিল বাঁশি।
নির্বাচন প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে রিন্টু আনোয়ার বলেন, আমি বিগত ১০/১২দিন দাগনভূঞা-সোনাগাজি নির্বাচনী এলাকার বহু স্থানে ভোটার, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছি। এতে আমার কাছে মনে হয়েছে,স্থানীয় জনগণ এখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনার প্রতিও তাদের কোন বিশ্বাস নেই। গণতন্ত্র সচেতন এখানকার মানুষেরা মনে করে, বিগত ১৫ বছর নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে এখানে যে জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাতে তারা মূল্যহীন। "আমার ভোটের কোনো মূল্য নেই"-এমন ভাবনা তাদের মনের মধ্যে আসন করে নিয়েছে।
এটি গণতন্ত্রের জন্যে অশনি সংকেত। আমি গণসংযোগে মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু মানুষ ভোট দিতে যাওয়ার জন্য রাজি নয়। তারা বলছে ভোট দিয়ে কি হবে? এমপি'তো নির্ধারণ হয়েই আছে! শুধু ঘোষণা বাকি। মোট কথা এখানে প্রতিবার "নির্বাচন ফেনী স্টাইল" মঞ্চায়ন হওয়ার কারণে ভোটের প্রতি মানুষ পুরোপুরি আস্থা হারিয়েছে। যদিও সারকার ও বিভিন্ন মহল থেকে বার বার জানানো হয়েছে,এবার অংশগ্রহণ মূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে! কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তাই, যে জনপ্রতিনিধি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয় না, সেই জনপ্রতিনিধি এবারও আমি হতে চাই না। তবে,আমার মার্কা বাঁশির হুইসেলে ফেনী-৩ (দাগনভূঁইয়া-সোনাগাজী) এলাকায় আমি সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে এলাকার বিবেকবান সচেতন মানুষদের সজাগ করার চেষ্টা করেছি। এ চেষ্টায় ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। এতে মহলবিশেষের গাত্রদাহ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এমপি হতে যেখানে শুধু ফলাফল ঘোষণা বাকি। এমন নির্বাচনে থাকা মানে তথাকথিত "ডামি" নির্বাচনকে সহায়তা করা।
এমতাবস্থায়, সাধারণ ভোটারদের মনোভাবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি রিন্টু আনোয়ার আজ ৫ জানুয়ারি'২০২৪ইং রোজ শুক্রবার প্রহসনের এই সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। অর্থাৎ আমি এই তথাকথিত "ডামি" নির্বাচন অংশ নিচ্ছি না।
এফআর/অননিউজ