নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোচিং ব্যাবসা জমজমাট
নীলফামারী প্রতিনিধি।।
করনা কালিন সময় সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোচিং ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ ফরহাদ হোসেন নামের এক ষষ্ট শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে একটি রুম ভাড়া নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ৩০ জন ছাত্রীকে ছোট্ট একটি রুমের মধ্যে গাদা গাদি করে বসিয়ে৷ কোচিং করানোর দৃশ্যে শংকিত হয়ে পড়েছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করোনাকালীন সময় সরকার যত বারই বিদ্যালয় বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন শিক্ষক ফরহাদ হোসেন মানেননি কোন নিষেধাজ্ঞা। বরং আরও জমজমাট হয়েছে তাদের কোচিং ব্যবসা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানায় একটি সিন্ডিকেট করে শিক্ষকরা এই ব্যবসা পরিচালিত করে আসছে, দৃষ্টি এড়াতে স্কুল ব্যাগের পরিবর্তে ছাত্রীরা বই বহন করে বিভিন্ন শপিং ব্যাগে । এ বিষয়ে শ্রেণি শিক্ষক ফরহাদ হোসেন সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সকল শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াচ্ছেন তাই আমিও পড়াচ্ছি ।
নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, কোচিং এর বিষয়টি নিয়ে চুপ চাপ থাকেন ভাই বিষয়গুলো ভাই জানে না জানলে আমাদের বিদ্যালয়ের বিষয়ে খারাপ ভাববেন। ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আছে কোচিং ব্যাবসা করানো শিক্ষকদের।
নীলফামারী জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন কোচিং ব্যাবসা বা প্রাইভেট পড়ানোর কোন বৈধতা নেই। করোনাকালীন সময় এ ধরনের কর্মকাণ্ড একটি বড় অপরাধ। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।