নীলফামারীতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ২ কলেজ শিক্ষক বরখাস্ত
সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী
এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক , জামায়াতে ইসলাম নীলফামারী জেলা শাখার সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও চাঁদের হাট ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবু হেলাল ও একই কলেজের জীববিদ্যা প্রদর্শক মারজিয়া বেগম এর অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় চাঁদেরহাট ডিগ্রী কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ।
কলেজ সুত্রে জানাযায়, ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আবু হেলাল ও জীববিদ্যা প্রদর্শক মার্জিয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে তারা অনৈতিক কর্মকান্ডর সাথে জড়িত থাকে। আবু হেলালের প্রথম স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে সৈয়দপুরে মার্জিয়া বেগমের বাসায় ছুটে যায় এবং দুজকে অপত্তিকার অবস্থায় এলাকাবাসী সাহায্য নিয়ে ধরে ফেলে ।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দুজনের অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ভাইরাল হলে কলেজের অবিভাবক ও ছাত্রছাত্রী মাঝে বিরুপ প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয় এবং কলেজ চলাকালীন অবস্থায় তারা দুজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সহকারী অধ্যাপক মো: আবু হেলাল ও জীববিদ্যা প্রদর্শক মার্জিয়া বেগম কে অনৈতিক কর্মকান্ডে জরিত থাকার অপরাধে সামায়িক ভাবে বহিষ্কার করে।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক অবু হেলাল ও জীববিদ্যার প্রদর্শক মার্জিয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আমার গোপনে অনেক আগে বিবাহ করেছি। বড় বউ বিষয়টি মানতে না পারায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে।
অধ্যাপক আবু হেলালের স্ত্রী ও এলাকাবাসীরা জানায় আবু হেলাল যখন জামাত ইসলামের সাথে যুক্ত ছিল মুসলিম এইড নামে একটি এনজিও পরিচালনা করতেন সে সময় স্বামী পরিত্যাক্তা, বিধবা ও দরিদ্র অবিবাহিত মহিলাদের এনজিও এর মাধ্যমে সাহায্য সহযোগিতা করত এরই অন্তরালে বিভিন্ন নারীর সাথে বিভিন্ন সময় এসব অপকর্ম করতেন।
এসব মহিলাদের রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত করার জন্য একটি মহিলা বাহিনী তৈরি করেছে অধ্যাপক হেলাল । এরই ধারাবাহিকতায় এখনো এসব অপ তৎপরতা গোপনে চালিয়ে আসছেন । এছাড়াও নীলফামারী ২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এর গাড়িবহরে হামলা ও বিভিন্ন হত্যা মামলার বিচারাধীন আসামি তিনি ।
চাঁদের হাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুল ইসলাম জানান, নীলফামারী জেলার মধ্যে আমাদের কলেজটির লেখাপড়া থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে সুনাম অর্জন করেছে কলেজে সুনাম রক্ষার ক্ষেত্রে কেউ অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত থাকলে কলেজ কতৃপক্ষ কখন তা মেনে নিবে না।
নোটিশে আরো বলা হয়েছে পরর্বতী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ বলবৎ থাকবে।