অনিয়ম দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা ধামাচাপা দিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন নীলফামারী জলঢাকার পাঠানপাড়া এম.ইউ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিন আজাদ। জানা গেছে, ঐ মাদ্রাসার দুটি নিয়োগে মাদ্রাসা উন্নয়নের নামে ১৫ লক্ষ টাকা নেন এম.ইউ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিন আজাদ। কিন্তু তিনি কোনো প্রকার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড না করে একের পর এক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরিবর্তন করে টাকা আত্মসাৎ এর পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে এম.ইউ আলিম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মোঃ হুকুম আলীন খান বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর আমি এই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। আমার কমিটির মেয়াদের শেষ ১০ দিন আগে দুটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চ‚ড়ান্ত হয়।
মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে ঐ দুই প্রার্থীর নিকট হতে ১৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করে অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিন আজাদ, এর পরে মাদ্রাসার দায়িত্ব নেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সে সময় টাকাগুলো গচ্ছিত ছিল অধ্যক্ষের নিকট। কিন্তু তিনি ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে খেলা শুরু করেন, তার উদ্দেশ্য ছিল কাজ না করে টাকা গুলো হাতিয়ে নেয়া।
এ বিষয়ে একাধিক বার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজা-উর-দৌলা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। অথচ হঠাৎ তিনি গত বৃহস্পতিবার নীলফামারী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবী তোলেন। এ সময় তিনি শুধু আমার সম্পর্কে কটুক্তি করেননি, মীরগঞ্জ থানা ও জলঢাকা থানা অফিস ইনচার্জ সম্পর্কেও কটুক্তি করেছেন।
জামায়াত পন্থি অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিন আজাদ বিভিন্ন সময় জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করেন। অথচ তিনি দাবী করছেন ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে তাঁর প্রান নাশের হুমকি আমরা দিয়েছি।
মূল বিষয় হচ্ছে নিজের অপকর্মে তিনি ভিত হয়ে পড়েছেন, তিনি যে, অপরাধ করেছেন এটি এখন তাঁর সবচেয়ে ভয়ের কারণ। এ বিষয় জলঢাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন বর্তমানে তিনি জলঢাকাতেই কর্মরত রয়েছেন। এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিকের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।