নীতিমালা উপেক্ষা করে গোপনে কমিটি দেয়ায় মাদ্রাসা সুপার এর কাছে ইউপি চেয়ারম্যান পুত্রের চাঁদা দাবি ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেসুপার ।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের বুড়িরহাট এ ইউ দাখিল মাদ্রাসায়।
এ ইউ দাখিল মাদ্রাসা সুপার আবু বক্কর সিদ্দিকের অভিযোগ চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে হাসানুজ্জামান সান্টু (৪০) ২৩ আগস্ট মাদ্রাসায় এসে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে । এসময় কয়েকজন শিক্ষক এর প্রতিবাদ করায় ইবতেদায়ি শাখার প্রধান শিক্ষক আবু মুসা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে অফিস কক্ষ হতে মাঠে নিয়ে এসে মারপিট শুরু করে চেয়ারম্যান পুত্র সান্টু ও তার সহযোগিরা ।
শিক্ষক আবু মুসা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে অন্যান্য শিক্ষকরা উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনার দিন ২৩ আগষ্ট মাদ্রাসা সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, মাদ্রাসা সুপারের এত যদি মাইরের ভয় থাকে তাহলে আমাদের না জানিয়ে গোপনে কমিটি দিল কেন?
শিক্ষকদের দাবি কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ এখনো কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় মাদ্রাসা সুপার ভয়ে মাদ্রাসা যেতে পারছে না। মাদ্রাসা সুপার আবু বক্করের পক্ষে যে সমস্ত শিক্ষক কথা বলেছেন এবং তার অভিযোগের স্বাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন তাদেরকেও মারপিট করার হুমকি দিচ্ছেন চেয়ারম্যানের পূত্র সান্টু তার সাঙ্গ পাঙ্গরা।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার বলেন, বিষয়টি তদন্তানাধীন অবস্থায় আছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে
এখনও চেয়ারম্যান পূত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ মানববন্ধনের ডাক দিতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক পরিষদের নেতা মোজাফ্ফর হোসেন।