বৃহস্পতিবার রাত দুটা থেকে নিখোঁজ ছিলেন আলহজ্ব ওয়াহেদ আলী(৫৫) (৩ সেপ্টেম্বর) শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে চাড়ালকাটা নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ ভাসতে দেখে নৌকার মাঝি।
চাপড়া ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা শাহ পাড়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে। নিহতের স্বজনরা জানায়, ব্রেণ স্টোক হওয়ার কারণে আলহাজ্ব অহেদ আলী ঠিকমতো কথা বলতে পারতেন না। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান, পরের দিন তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করে তার সন্ধান না পাওয়ায় তার ছেলে মানিক মিয়া নীলফামারী সদর থানায় শুক্রবার একটি জিডি করেন জিডি নং ৯২।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা সীমানায় চাড়াল কাটা নদীর পাড়ঘাট নামক স্থানে নৌকার মাঝি লাশের মাথা দেখতে পায়, স্থানীয় লোকজন ও নিহত স্বজনরা নদী থেকে রশি দিয়ে হাত পা বাঁধা ও পায়ে ইট ঝুলানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কীটনাশক ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী হত্যার ঘটনায় এলাকায় বিচারের দাবি উঠেছে।