উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢল ও ২ দিনের বর্ষনে তিস্তা নদীর পানি (বুধবার ২৯ জুন) দুপুর ১২ টায় ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদ সীমা অতিক্রম করে ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নিম্ন অঞ্চলসহ ডিমলা ও জলঢাকায় ৫ হাজার পরিবার এরই মধ্যে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, পাহাড়ী ঢল ও অতিভারী বর্ষনের কারণে ভারত তাদের গজলডোবার ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দেয়ায় তিস্তার পানি বিপদসীমার অতিক্রম করে বর্তমানে বিপদ সীমা (৫২.৬০) সেন্টিমিটার অতিক্রম করে (৫২.৬২) সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হওয়ায় দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারেজের বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। আমরা সর্তক অবস্থায় রয়েছি। এর আগে ২০ জুন তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় প্রতি সেকেন্ডে ২ হাজার ৪৫৭ কিউসেক পানি প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। মাত্র ২০ মিনিটে পানি ছাড়া হয় প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ কিউসেক।
পানি বৃদ্ধির ফলে ডুবতে শুরু করেছে জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলার চর ও নিম্ন অঞ্চলের গ্রাম গুলো। জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, কৈমারী, শৌলমারী ও ডিমলা উপজেলা পূব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, গয়াবাড়ী, টেপা খড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ আবারো পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ২০ জুন তিস্তা নদীর পানির ৩১ সেন্টিমিটার অতিক্রম করায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিম্ন অঞ্চলের সকল সরকারী, বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রয়েছে।