নীলফামারী প্রতিনিধি।।
ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী নারীর জমি দখলের চেষ্টা করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। বাধা দিলে ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে নীলফামার আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬ জন। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি সাত মাসের অন্তঃসত্বা গৃহবধু।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চন পাড়া গ্রামে। অভিযোগে জানা গেছে, ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল তিনটার দিকে মুহাম্মদ জুলফিকার আলী ভুট্টুর নির্দেশে অদ্ধশতাধিক লোক জন দেশীয় অস্ত্র ছুরি, দা, লাঠি নিয়ে প্রতিবন্ধী মর্জিনা বেগমের বাড়ি ঘর আসবাবপত্র ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় প্রতিবন্ধী মর্জিনা বেগম বাধা দিলে জুলফিকার আলী ভুট্টু এর নির্দেশে রবিউল ইসলাম (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিবন্ধীর মর্জিনার মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় প্রতিবন্ধী মর্জিনা বেগমকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে মোহাম্মদ আব্দুল কালাম মোজাম্মেল হক মোমেনা খাতুন কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতর জখম করে ও সাত মাসের অন্তঃসত্বা রোকসানা বেগমের গাল কামরে পেটে লাথি মারে। এ বিষয়ে ৯ জনকে আসামী করে নীলফামারী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে প্রতিবন্ধী মর্জিনা বেগমের বড় ভাই মোহাম্মদ আজির উদ্দিন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মোঃ আবুল কালাম, মোজ্জামেল হক, মোমেনা খাতুন, রোজিনা খাতুন, সুলতানা খাতুন এছাড়াও পেটে লাথির আঘাত নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৭ মাসের অন্তঃসত্বা গৃহবধু রোকসানা বেগম।
রোকসানা বেগম জানান, আমি তাদেরকে রক্ষা করতে গেলে মোঃ জাহানুর ইসলাম (৩০) আমার গাল কামরে ধরে আমার পেটে লাথি মারতে থাকে। এসময় আমি ব্যথায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে পুলিশ এসে আমাদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
শারারিক প্রতিবন্ধী মোছাঃ মর্জিনা বেগম এর বড় ভাই মোঃ আজির উদ্দিন বলেন, কাঞ্চনপাড়া মৌজার ৮১ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছিল আমার বোন, সেই জমি আমার প্রতিপক্ষ কাগজপত্র জাল করে ৮ শতাংশ জমি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে দানপত্র করে দেয় জুলফিকার আলী ভুট্টুকে। সে এখন ৮ শতক জমির বিনিময়ে ৮১ শতক জমি প্রতিপক্ষকে দখল করে দেবার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে। জুলফিকার আলী ভুট্টুর নেতৃত্বে একটি ট্রাকটর জমিতে চাষ দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায়।
চওড়া বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বিটু জানান, আমি কয়েক দিন ধরে নীলফামারীর বাহিরে অবস্থান করছি। ঘটনাটি শুনেছি, সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম সবুর বলেন, বাদীকে থানায় আসতে বলেন, আমি ওসিকে বলে দিচ্ছি। মামলা নেবে, মামলা হবে।
এফআর/অননিউজ