নীলফামারী তে ৫ জেএমবি সদস্য ৩ দিনের রিমান্ডে
নীলফামারী প্রতিনিধি।।
নীলফামারীতে গ্রেফতার হওয়া ৫ জেএমবি সদস্যের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত। রবিবার বিকেলে নীলফামারীর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের তোলা হলে আদালতের বিচারক মোঃ হাফিজুল ইসলাম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নীলফামারী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মাহমুদ উন নবী পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।
পাঁচ জেএমবি সদস্য হলেন সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের তেলিপাড়া উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার মৃত. মকবুল হোসেনের দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম(৩০) ও অহিদুল ইসলাম(২৮), সংগলশী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার তছলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা(২৬), চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দর চড়াইখোলা গ্রামের অজোউদ্দিনের ছেলে ওয়াহেদ আলী(২৮) ও সোনারায় ভবানীমোড় এলাকার রজব আলীর ছেলে ও তেলিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম নূর আমিন(৩৫)। এই মামলার প্রধান আসামী সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের পুটিহারী এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ(৩৪) পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রউপ। এর রবিবার সকালে ছয়জঙ্গির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ছয়জনকে আসামী করে মামলা করেন র্যাব-১৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের।
গত শনিবার সকালে সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া পুটিহারী এলাকায় শরিফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করে র্যাবের বোম্ব ডিজপজাল ইউনিটের সদস্যরা। এ সমায় ৫ জেএমবি সক্রিয় সদস্যকে আটক করে র্যাব ১৩। তাদের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলখানাতে বন্দি থাকা শীর্ষ জেএএমবি সদস্য দের মুক্ত করা। এ জন্য তারা নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড এলাকাকে বেছে নেয়। পাশাপাশি প্রশাসনিক বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে। একটি গোপন অ্যাপ এর মাধ্যমে তাদের আমির বোম্ব তৈরির প্রশিক্ষণ দিত। তারা সফলভাবে বোমা তৈরি সকল কলা কৌশল শিখে বোমা তৈরিতে পারদর্শী হয়ে ওঠে। এরা ইপিজেড এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য সংগ্রহ করে যারা প্রত্যেকেই কোন না কোন ফ্যাক্টরি খেলনা ফ্যাক্টরি ও গার্মেন্টসে চাকরি করে বলে জানিয়েছে র্যাব ১৩।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।