৬ জঙ্গির নামে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেছে র্যাব ১৩, ৫ডিসেম্বর রবিবার মামলাটি হয় নীলফামারী থানায়। মামলায় বাদী র্যাব-১৩ রংপুর এর উপ-সহকারী পরিচালক(ডিএডি) আব্দুল কাদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রউপ।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের পুটিহারী এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ(৩৪)। মামলায় অন্য আসামীরা হলেন জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া সোনারায় ইউনিয়নের তেলিপাড়া উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার মৃত. মকবুল হোসেনের দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম(৩০) ও অহিদুল ইসলাম(২৮), সংগলশী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার তছলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা(২৬), চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দর চড়াইখোলা গ্রামের অজোউদ্দিনের ছেলে ওয়াহেদ আলী(২৮) ও সোনারায় ভবানীমোড় এলাকার রজব আলীর ছেলে ও তেলিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম নূর আমিন(৩৫)।
তবে পলাতক রয়েছেন প্রধান আসামী শরিফুল ইসলাম। র্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়ার পাঁচ জেএমবি সদস্যকে নীলফামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা জেএমবির সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য।
তারা বোমা তৈরিতে সক্ষম ছিলো এবং তৈরিও করেছিলো। তিনি জানান, প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং আরো কারা জড়িত রয়েছেন তাদেরও বের করার কাজ শুরু হয়েছে।
নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করে র্যাব। মামলা নং-০১। এতে অজ্ঞাত আরো ছয়জনকে আসামী হিসেবে রাখা হয়েছে। গ্রেফতার আসামীমের আদালতে তোলা হবে এবং আদালতের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে শনিবার সকালে সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া পুটিহারী এলাকায় শরিফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করে র্যাবের বোম্ব ডিজপজাল ইউনিটের সদস্যরা।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com