নোয়াখালী পৌর এলাকার একটি বাসার ভেতর বিছানায় পড়ে ছিল তামান্না ইসলাম পিনু (১৬) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ। পাশেই ফ্যানে ঝুলছিল তামান্নার স্বামী মেহেদী হাসান শুভর (২২) মরদেহ।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ বার্লিংটন মোড়সংলগ্ন বসুন্ধরা কলোনির একটি বাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হচ্ছেন দাদপুর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান শুভ ও পৌর এলাকার লিটনের মেয়ে তামান্না ইসলাম পিনু।তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াও সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালাতো ভাই-বোন হওয়ার সুবাদে নিজেদের মধ্যে জানাশোনা ও প্রেমের সম্পর্কে এক বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শুভ এবং তামান্না। এরপর থেকে তাঁরা মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনিতে তামান্নাদের বাসায় থাকতেন। একই বাসায় তামান্নার মা ও ভাই থাকতেন। সোমবার সকালে তাঁদের কক্ষ থেকে শুভ ও তামান্নার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন তামান্নার ভাই হোসেন আহমেদ নোমান। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা-পুলিশ তাঁদের দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী শুভ তাঁর স্ত্রী তামান্নার গলা কেটে হত্যা করে নিজে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনাটি আরও তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানা যাবে।