এবার কক্সবাজারের কিছু এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবিসহ রেকর্ড সংখ্যক সর্বনিম্ন ভোটে পরাজয়ের নজির স্থাপন করেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কয়েক দফায় নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দেখা গেলেও এসব প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুধু জামানত বায়েজাপ্তই নয়; প্রার্থীতায় শর্ত পুরণেও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। পায়নি নুন্যতম ১ শত ভোটও। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও কটূক্তিমুলক হাস্যরস।
২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগ পাননি জান্নাতল বকেয়া। ফলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন অফিস। কক্সবাজারের চকরিয়া কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ৯৯ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের (নৌকা) চেয়ারম্যান প্রার্থী জন্নাতুল বকেয়া রেখা।
চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউপিতে ভোট পড়েছে ৯ হাজার ৯৯৮ টি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জান্নাতুল বকেয়া পেয়েছেন ৯৯ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার জানান। কক্সবাজার ইউপি নির্বাচনে ৬টিতে আওয়ামী লীগ ও ৯ টিতে দলটির বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
এরমধ্যে ১৫ টির বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যালট পেপার ছিনতাই ও ব্যালটবক্স ভাঙচুরের কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয় বারবাকিয়া ইউনিয়নে। কক্সবাজারে ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন আরও বলেন, আমরা এখনো এ বিষয়ে কাজ শুরু করিনি। কোনো একজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন, তাহলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
যোগ্য হলে জামানত ফেরত পাবেন, আর অযোগ্য হলে জামানতের টাকা সরকারি কোষাগার জমা হবে বলে জানান তিনি। প্রার্থীরা যখন আবেদন করবে তখন আমরা খতিয়ে দেখব কে জামানত পাওয়ার যোগ্য, আর কে অযোগ্য।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24