নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। শনিবার (২জুন) রাত ৮টার দিকে একটি তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী নড়াইল জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের কি উল্লেখ করা হয়েছে তা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রকাশ করা হয়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রী কলেজের অনাকাংখিত ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কারা জড়িত বা কাদের নাম এসেছে সেটা বলার সুযোগ নেই; যেহেতু মামলা চলছে। সেজন্য কারো নাম বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত অপর একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শনিবার জমা দেয়ার কথা ছিলো। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত তদন্ত কমিটির মিটিং চলছিল।
মির্জাপুর কলেজের ঘটনায় নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেৃতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি এবং নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত ৪জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ জুলাই) গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড আবেদনের শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত: গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রাহুল দেব রায় ফেসবুকে মহানবী (সাঃ)কে অবমাননাকর এক পোস্ট দেয়। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজ ছাত্র রাহুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে পুলিশের উপস্থিতিতে জুতার জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিত করা হয়। এসময় অধক্ষ্য হাত উচু করে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাননি।