মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নড়াইল সদর উপজেলায় আরো ১২টি আশ্রয়হীন পরিবার ঘর পাচ্ছেন। এর আগে এই উপজেলায় ১৪৯টি আশ্রয়হীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুই শতক জমিসহ ঘর উপহার দেয়া হয়। এ নিয়ে মোট ঘরের সংখ্যা দাড়ালো ১৫১টি। ২০২০ সাল থেকে আশ্রয়হীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে নড়াইল সদর উপজেলায় ঘরের উপযুক্ত খাস জমি না থাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার (“ক” শ্রেণির পরিবার) পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের ১০৯ নম্বর শোলপুর মৌজায় ৩৬শতক জমি আশয়ণ-২ প্রকল্পের ক্রয় করা হয়। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এসব ঘরের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে শনিবার দুপুরে নির্মানাধীন ঘর পরিদর্শন করেন নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন খান নিলু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শ্বাশতী শীল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, সদর উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা, উপজেলা প্রকৌশলী জহির মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুর রহমান হিট্টু সহ অনেকে। পরিদর্শণকালে কাজের গুনগত মান ও অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষের বিভিন্ন সরকারি এজেন্ডা বাস্ত—বায়িত হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্তাবধানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় “ক” শ্রেণীর ভূমিহীনদের মধ্যে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে যার জমিও নেই, ঘরও নেই তাদের মধ্যে ঘর করে দেয়ার স্বপ্ন দেখছেন মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রী। তারই বাস্তবায়ন আমরা তৃণমূল পর্যায়ে ঘটানোর জন্য টিম হিসেবে কাজ করছি। বর্তমানে নড়াইল সদর উপজেলায় খাস জমির সংস্থান না থাকায় সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জমি ক্রয় করে সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন ইউনিয়ন এর অন্তর্গত শোলপুর মৌজায় ১২টি একক গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। ১৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যেই ১২টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়ন করতে পারবো।’