পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে মাদক মামলায় নারী ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার ২
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড়ে মাদক মামলায় ময়না রানী (২৭) নামে এক নারী ইউপি সদস্যসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে আটোয়ারী থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (০১ জুন) গভির রাতে উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া পুরান আটোয়ারী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পূর্ব পাড়া পুরান আটোয়ারীর গিরাগাঁও গ্রামের দীপক সরকারের স্ত্রী ও ৭,৮ ও ৯ নং সংরক্ষীত আসনের নারী ইউপি সদস্য ময়না রানী (২৭), পুরাতন আটোয়ায়ীর মানিক সরকারের ছেলে রিদয় সরকার (২২)। তবে এ ঘটনায় দায়ের কৃত মাদক মামলার প্রধান আসামী একই এলাকার এরশাহ হোসেনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আমির হোসেন (৩০) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার (৩১ মে) গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসায়ী আমির হোসেনের বাড়িতে পুলিশ উপস্থিত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় নারী ইউপি সদস্য ময়না রানী পুলিশকে অবরুদ্ধ করে বাঁধা প্রদান করে। একসময় কৌশলে আমির পালিয়ে গেলে পুলিশ তার বাড়ি থেকে একটি ব্যাগ থেকে ২০ গ্রাম হেরোইন, ৯০ পিছ বুপিন রফিন ইনজেকশন ও ১৫ পিছ ইয়াবা জব্দ করে। পরে ইউপি সদস্যসহ উপস্থিত সকলে সটকে পড়লে বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সকালে পুলিশ আটোয়ারী থানায় আমির হোসেনকে প্রধান আসামী করে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করায় নারী ইউপি সদস্য ময়না রানীকে দ্বিতীয় আসামী করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মাদক মামলা দায়ের করে। একই দিন বৃহস্পতিবার (০১ জুন) গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তবে এ ঘটনায় অপর আসামীরা পলাতক রয়েছে।
ইউপি সদস্য ময়না রানীকে মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে আটোয়ারী উপজেলার ধামার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের দুলালের সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি পুলিশের সাজানো। ইউপি সদস্যকে ফাঁসানোর জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান করে মাদক ব্যবসায়ী আমিরকে পালাতে সহায়তা করে। সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে নারী ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। জব্দকৃত মাদক দ্রব্যের বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।