পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড়ের আলোচিত যুবক শয়ন হত্যা মামলার প্রধান আসামী মুন্নাকে (৩০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর মাঝে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকলেও সর্বশেষ চট্রগ্রামের রোহিঙ্গা কাম্প এলাকায় অবস্থান করে বলে জানায় পুলিশ।
জানা যায়, প্রধান আসামী মুন্না ঠাকুরগাঁও জেলার জগন্নাথপুর এলাকার আঃ রউফ এর ছেলে।
জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর পাওনা ৬ হাজার টাকার জন্য সহযোগী মাসুদ রানা শুভকে সাথে নিয়ে ঠাকুরগাঁও থেকে আটোয়ারীতে যায় মুন্না। এর পর চা খাওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে শয়নকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। এদিকে উপজেলার কোনপাড়া এলাকায় পৌঁছলে শয়নকে মাথায় আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে তারা। পরে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার শয়ন মারা যায়। মৃত্যুর পর শয়নের মা সেলিনা আক্তার ৮ সেপ্টেম্বর মুন্না ও শুভর নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের ও হত্যাকাণ্ডের ৩৪ দিনের মাথায় মামলার অন্যতম আসামি মাসুদ রানা শুভ আটক হলেও দীর্ঘ ২ মাস ধরে আত্মগোপণে চলে যায় মুন্না।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সোয়েল রানা জানান, মামলা দায়েরের পর আত্মগোপনে চলে যায় মুন্না। তথ্য প্রযুক্তিসহ এনালগ প্রদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তার বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টিম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসলে রোববার সে পঞ্চগড় আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে তাকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করে।
এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে সোমবার (৬ নভেম্বর) আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড শেষে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত আরো অনেক কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
এফআর/অননিউজ