পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বিশাল আকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে বিশাল আকৃতির এক অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের নন্দগছ এলাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাপটি উদ্ধার করে বন বিভাগ। পরে সাপটি তেতুঁলিয়া বন বিভাগের মাধ্যেমে দিনাজপুর বন বিভাগের রাম সাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়। সেখানে অজগর সাপটিকে অবমুক্ত করা কথা রয়েছে। বন বিভাগের তথ্যমতে, উদ্ধারকৃত সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ ফুট এবং ওজন ৯ কেজি ২০০ গ্রাম। চলমান ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে সাপটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করছে বন বিভাগ।
তেতুঁলিয়া উপজেলা প্রশাসন, তেতুঁলিয়া বন বিভাগ ও বিজিবি এবং স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শুকানি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত এলাকায় মেইন পিলার ৭৪১ এর ৫ সাব পিলার এলাকা থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাদেকুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তির বাড়ি সংলগ্ন বাঁশঝাঁড়ে বাঁশের সাথে প্যাচানো অবস্থায় সাপটিকে ঝুঁলে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতোপূর্বে উদ্ধারকৃত অজগর সাপের তুলনায় সাপটি বড় এবং আক্রমনাত্মক হওয়ায় আতংকিত এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগনের সহায়তায় সাপটি উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাপটি তেতুঁলিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় নেয়া হয়। উদ্ধারকৃত সাপটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী উন্মুুক্ত স্থানে অবমুক্তের জন্য দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে।
সামাজিক বন বিভাগ তেতুঁলিয়ার বিট কর্মকর্তা নুরুল হুদা বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে সাদেকুল নামে এক ব্যাক্তির বাঁশঝাড় থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাপটিকে নামিয়ে উদ্ধার করে বস্তাবন্দি করা হয়। আমরা সাপটিকে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠিয়েছি। সেখানে সাপটিকে অবমুক্ত করা হবে।
তেতুঁলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যেমে অজগর সাপের বিষয়টি জানতে পেরে বন বিভাগের লোকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাপটিকে উদ্ধার করা হয়। সাপটিকে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে। এর আগেও কয়েকবার অজগর সাপ তেতুঁলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়। আমরা ধারণা করছি সাপটি চলমান ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে সাপটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।