পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ৮ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক এক পৌর মেয়রসহ ৮ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও একই সাথে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জনকে।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জয়নুল হক (৪২) বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম এমু, দেবীগঞ্জ পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে কায়েদে আজম, কৃষক লীগ নেতা ইউসুফ আলী ও মোঃ শফিক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতবছরের (২০২৩) ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে সদর ইউনিয়নের মোড়াতল্লী বাজারে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জয়নুল হকের দোকানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়ে মামলার আসামীরা দিয়ে হামলা চালায়। একই সময় তারা পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেও অভিযোগ করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জয়নুলের মাথায় রামদা দিয়ে চোট সহ এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকেন। আহত অবস্থায় বাঁচার জন্য সেখান থেকে দৌড়ে আব্দুল বাকীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেও ভাঙচুর চালায় অভিযুক্ত আসামিরা এবং জয়নুল হকের গলা চেপে ধরে শ্বাস রোধে হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, মারপিটের সময় জয়নুলের কাছে থাকা আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত আসামীরা। এদিকে চিকিৎসা শেষ হলে তারা বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে কালখেপন করে বলেও অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার জয়নুল বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নামে মারপিট, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভাঙচুর এবং হত্যা চেষ্টায় মামলা দায়ের করেন।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।