পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নুর ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন মোমিনপাড়া সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৭৫২/ ২ এস সাব পিলার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মোমিনপাড়া সীমান্তের একটি চা বাগানে মরদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
জানা যায়, নিহত গরু ব্যবসায়ী নুর ইসলাম বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের বকশীগঞ্জ এলাকার আব্দুর জব্বারের ছেলে।
স্থানীয় ও বিজিবি-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতে অবৈধ প্রবেশ করে গতরাতে মোমিন পাড়া সীমান্ত দিয়ে গরু নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের বেরুবাড়ি বিএসএফ তাকে সীমান্তে গুলি করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে মোমিন পাড়া সীমান্তে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তির জমিতে ওই গরু ব্যবসায়ীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল হক বলেন, রাতে আমরা খাওয়া শেষে ঘুমাতে গেলে রাত ১১টার সময় সীমান্ত থেকে ৫টি গুলির আওয়াজ পাই। একই সাথে বিএসএফের চিৎকারের শব্দ পাওয়া যায়। পরে রাতেই বিজিবির সাথে যোগাযোগ করা হয়। এদিকে সকালে স্থানীয়রা চা বাগানের পাশে মরদেহটি দেখতে পায়। তবে যে স্থানে মরদেটি পাওয়া গেছে সেখানে কোন রক্তের দাগ নেই। পিলারের পাশে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। মূলত সেখান থেকে মেরে সকালের দিকে মরদেহটি এখানে ফেলানো হয়েছে। ওই যুবককে মাঝে মধ্যে সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে দেখা যেতো। ধারণা করা হচ্ছে তাদের একটি টিম ভারতে প্রবেশ করে দেশে ফিরছিলো।
এদিকে ঘটনার পর পর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কি আলোচনা হয় তা বিস্তারিত জানা যায় নি। ঘটনার পর থেকে নীলফামারী ৫৬- বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আসাদুজ্জামান হাকিমের সাথে মোবাইল ফোনে একাধীকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের বাম গালে মাথার পেছন দিয়ে গুলি বের হওয়ার দাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এফআর/অননিউজ