পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় কামরুল ইসলাম (৩৫) ও খোকন সরকার (৩৩) নামে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জেলার তেঁতুলিয়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে মরদেহ গুলো উদ্ধার করা হয়।
কামরুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের যুগিগছ এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে ও খোকন দেবীগঞ্জ উপজেলার নতুন বন্দর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী ও দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এবং তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বিস্তারিত জানা যাবে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের যুগিগছ এলাকার কামরুল ইসলাম গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বাড়ির জন্য বাজার করে বাইরে যায়। রাত হওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। পরদিন সকল আত্বীয়ের বাড়িতে তাকে খোঁজা হয়। এর মাঝে তার সন্ধান না পেয়ে মঙ্গলবার তেঁতুলিয়া থানা পুলিশকে মৌখিক ভাবে অবগত করা হয়। এর পর পরিবারের সদস্যরা বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এদিকে বিকেলের দিকে দেবনগর ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর পাশে একটি চা বাগানে স্থানীয়রা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পরিচয় শনাক্ত করে। একই সময় কিছু আলামত উদ্ধার করে মনাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় তার গলা টিপার দাগ পাওয়া যায়।
এদিকে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার নতুনবন্দর এলাকার খোকন সরকার সকালে গরুর জন্য ঘাস তুলতে যায়। একসময় দুপুর গড়িয়ে আসে। এর মাঝে স্থানীয়রা একটি গলা কাটা অবস্থায় ভুট্টা ক্ষেতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। কামরুল ও খোকনকে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি দাবী করেন পরিবারের সদস্যরা।