পঞ্চগড়ে দোকান দখল করে তালাবদ্ধ রাখার অভিযোগ, প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোডে সরকারের খাস জমিতে বাৎসরিক অনুমোদন নিয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করে আসা পাঁচজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান দখল ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন প্রভাবশালী একটি মহলের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীরা বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড় পৌর এলাকার পাটোয়ারী পাড়ায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ অভিযোগ করেন। একই সাথে ঘটনায় ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতা ও চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ৫ পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশরাফুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করে বলেন, ভুক্তভোগী আলী, মফিজুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, তবিবর রহমান ও আরিফ হোসেন ১৯৯০ সাল থেকে পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোডে সরকারের খাস জমিতে বাৎসরিক অনুমোদন নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাদের ব্যবসার প্রতিদ্বন্দ্বী একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি বণিক সমিতির সহায়তা নিয়ে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

তাদের অভিযোগ, গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় প্রভাবশালী ওবায়দুল হক জারিনের নেতৃত্বে ৫০ জনেরও বেশি ভাড়াটে সন্ত্রাসী তাদের দোকানে হামলা চালিয়ে মালামাল লুটপাট করে এবং জোরপূর্বক দোকান থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি আইনগতভাবে সমাধানের চেষ্টা করলে ওই প্রভাবশালী মহল তাদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। বর্তমানে দোকানগুলো বন্ধ থাকায় তারা প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন এবং প্রায় দুই কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এর ফলে তারা ব্যাংক ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে পারছেন না, পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন, এমনকি সন্তানদের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে, ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর ৮ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর দোকান ঘর খুলে দেওয়া ও লাইসেন্স প্রদানের আবেদন করেন ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ ব্যবসায়ী। আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, ২৩ সেপ্টেম্বর ভূমি অফিসে শুনানির সময় প্রতিপক্ষ কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তা সত্ত্বেও প্রভাবশালী পক্ষ অবৈধভাবে তাদের দোকান দখল করে রেখেছে।

ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের কাছে দ্রুত দোকানের তালা খুলে দেওয়া, ব্যবসা পুনরায় চালুর সুযোগ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

আরো দেখুনঃ