নৌকা বিপক্ষে যারা ভোট করেছে তাদের ৭ তারিখের পরে পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পঞ্চগড়-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার অনুসারী ও সমর্থক নুরুজ্জামান নুরু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের কাজির হাট বাজারে নেতাকর্মী ও নৌকা মার্কায় সমর্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী বক্তব্য দেয়ার সময় মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে আওয়ামী লীগের ওই নেতা এ হুমকি দেন।
এই সময় বক্তব্য দেয়াকালে নির্বাচনের অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও তার কর্মী সমর্থকদের ইঙ্গিত করে ওই নেতা বলেন, ,যারা নৌকাকে ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন চলেছে, এখন নৌকার বিরোধীতা করে এদেকে চিহ্নিত করে রাখবেন৷ ৭ তারিখের পরে এই সমস্ত লোককে নৌকার আশেপাশে দেখলে প্রয়োজন বোধে তাদের ঠেঙ্গগুলো (পা) ভেঙে দেয়া হবে। এদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলা হয়। নৌকার পতাকার তোলে দীর্ঘ দিন ধরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়েছে এখন নৌকার বাহিরে তারা অন্য সূর ধরেছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখবেন।
এদিকে আওয়ামীলীগের ওই সর্মথকের হুমকির সেই ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলা জুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, হুমকি দেওয়া ওই আওয়ামীলীগের নেতা নুরুজ্জামান নুরু জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি পঞ্চগড় ১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার অনুসারী ও সমর্থক।
এর আগেও আওয়ামীলীগের প্রার্থীর অনুসারী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব এক নির্বাচনী সভায় এমন হুমকি প্রদান করলে তাকে শোকজ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন এতে আচরনবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। আমি আশা করি রিটার্নিং অফিসার এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন৷ এতে আমরা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি, আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসবে যে নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে।
এফআর/অননিউজ