পঞ্চগড়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মায়ের দায়ের করা মামলায় সাইফুল ইসলামকে (৪৯) নামে এক বাবাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বি. এম তারিকুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামের মৃত আখিম উদ্দীনের ছেলে। এর আগে, গত ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় ভিকটিম তরুনীর মা বাদী হয়ে নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম একাধীক বিয়ে করলেও মামলার বাদী তার প্রথম স্ত্রী। তাদের দাম্পত্যে ৫ জন সন্তান রয়েছে। সাইফুল দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত ২০২৩ সালের আগষ্ট মাসের দিকে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন বাদীনি। তার সঙ্গে থাকে ভিকটিম মেয়ে ও ছোট দুই ছেলে সন্তান। এদিকে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে বাবার বাড়িতে যায় ভিকটিম মেয়ে। সেখানে বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতযাপন করে সে। বিয়ে অনুষ্ঠানের তিনদিন পর (২৪ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমের সৎ মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার ঘুমন্ত মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেয়েকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে বাড়িতে ফিরে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে বাদী পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক ভিকটিমকে অন্তঃসত্তা বলে জানান। পরে বাবা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি বাদীকে নিশ্চিত করেন ভিকটিম। এ বিষয়ে অভিযোগ তুলে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করে ভিকটিমের মা।
পরে মামলাটি তদন্ত করেন সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার। তিনি চলতি বছরের ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, সঠিক বিচারের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করবো।